এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুই প্রতিনিধি। ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে। আর অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে আসবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি প্রতিনিধিদের ঢাকা সফরে গুরুত্ব পাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকট।

কিছুদিন ধরে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে দুই পক্ষই তা কমাতে চায়। যে কারণে দুই দেশের মধ্যে ঘন ঘন বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী এপ্রিলে ওয়াশিংটনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হবে।

অন্যদিকে অংশীদারিত্ব সংলাপ পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সঙ্গে অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারা ম্যাকডোনাল্ড ঢাকা সফরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার গুরুত্ব পাবে।

কারা ম্যাকডোনাল্ড আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া তিনি দেশের শ্রমিক প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের শ্রম অধিকার বিষয়ে জানার চেষ্টা করবেন।

অন্যদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলের সফরে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, গণতন্ত্র এবং রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে।

বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর কীভাবে চাপ সৃষ্টি করা যায় তা গুরুত্ব পাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ডেরেক শোলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।